যে আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি সদয় আচরণ করে সে আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা হিসেবে গণ্য হয়। ইসলাম সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সদাচারের শিক্ষা দেয়। বিশেষ করে সমাজের এতিম, দুস্থ, অসহায় ও মজলুম মানুষকে সহায়তা দানের প্রতি ইসলাম অধিক গুরুত্ব আরোপ করে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে সমাজের সব মানুষকে এতিম, দুস্থ ও মজলুম মানুষের প্রতি কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের জন্য উদ্বুদ্ধ করে বিভিন্নভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এতিমের হক আদায় না করা ও মিসকিনদের খাবার না দেওয়ার প্রতি ভর্ৎসনা করে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, তুমি কি এমন লোককে দেখেছ, যে দীনকে অস্বীকার করে? সে তো ওই ব্যক্তি যে এতিমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়, আর সে মিসকিনদের খাবারদানে মানুষকে অনুৎসাহিত করে। (সুরা মাউন, আয়াত : ১-৩)
ইসলামে এতিমের লালন-পালনের দায়িত্ব নেয়াকে জান্নাত যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গণ্য হয়। হাদিস বর্ণিত আছে , ‘যে ব্যক্তি কোনো এতিমকে আপন মাতা-পিতার সঙ্গে নিজেদের (পারিবারিক) খাবারের আয়োজনে বসায় এবং (তাকে এই পরিমাণ আহার্য দান করে যে) সে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ১৮২৫২)
আমাদের দেশের আনাচে কানাচে অনেক এতিম অসহায় সুবিধা বঞ্চিত শিশু রয়েছে, সৃষ্টির কল্যাণে ফাউন্ডেশন এসকল এতিম অসহায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষা ও ইসলামের আলোয় আলোকিত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার এক মহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এই মহৎ প্রকল্প যোগ দিতে আপনার সাহায্য ও অনুদান একান্ত কাম্য।