দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। চলুন ধাপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 

পরিকল্পনাঃ কোন কাজ শুরু করার আগে পরিকল্পনা করে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আমাদের একটি বুলেট-প্রুফ পরিকল্পনা সাজিয়ে নিতে হবে। পরিকল্পনা সাজানোর সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে অনলাইনে সহজ এবং কঠিন উভয় কাজ পাওয়া যায়। অনলাইনের প্রতিটি কাজের মধ্যে আপনাকে এমন কাজ নির্বাচন করতে হবে যা আগামী ১০ বা ২০ বছর পর্যন্ত থাকবে। কারণ শেখার পর যদি সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেখানে দেওয়া সময় সম্পূর্ণটাই নষ্ট হয়ে যাবে। মোটকথা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনি কি কি শিখবেন, কোথায় থেকে শিখবেন এবং কত সময়ের মধ্যে শিখবেন তা নির্ধারণ করে এগোতে হবে। 

কাজ শেখার আউটলাইন তৈরিঃ আপনার পছন্দের টপিক নির্বাচন করার জন্য আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে। অনলাইনে পাওয়া যায় এমন প্রধান প্রধান কাজগুলো সম্পর্কে সার্চ করে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এতে আপনি যে বিষয় বোঝেন সেই বিষয় নির্বাচন করতে সহজ হবে। 

স্মার্ট ক্যারিয়ার তৈরি করা যাবে দেখে লোভে পড়ে কোন টপিক নির্বাচন করা যাবে না। কারণ উক্ত বিষয় শিখতে গেলে তখন মাঝপথে ইন্টারেস্ট কমে যাবে এবং শেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। যাইহোক, আপনার পছন্দের বিষয় নির্বাচন করা হয়ে গেলে একটি প্রপার গাইডলাইন তৈরি করে নিতে হবে। 

প্রোজেক্ট তৈরিঃ পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কাজ শেখার পড়ে কাজ হলো কিছু বাস্তবধর্মী প্রোজেক্ট তৈরি করা। অর্থাৎ এতদিন ধরে আপনি যে বিষয়ে শিখলেন সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে কিছু কঠিন প্রোজেক্ট তৈরি করতে হবে। এই প্রজেক্টগুলো একাধারে আপনার স্কিল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং আপনার পোর্টফলিও স্ট্রং করবে। 

পোর্টফোলিও তৈরিঃ কাজ শেখা শেষ করে যখন প্রোজেক্ট করা হয় তখন পোর্টফোলিও এর প্রয়োজন পরে। পোর্টফোলিও হলো আপনার অভিজ্ঞতার প্রমাণ। আপনার পোর্টফোলিও তে যত কাজের প্রমাণ এবং অভিজ্ঞতা থাকবে তত তাড়াতাড়ি অনলাইনে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। 

মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরিঃ উপরের সকল কাজ ঠিকভাবে করার পর আপনি এখন অনলাইনে ইনকাম করার জন্য রেডি। শুরুতে কাজ পাওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইবার বা আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। 

এগুলোর পাশাপাশি লিংকডইন সহ অন্যান্য প্রফেশনাল ওয়েবসাইটে নিজের প্রোফাইল তৈরি করে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে হবে। বিশেষ করে মার্কেটপ্লেসে সব সময় অ্যাক্টিভ থেকে কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে। বর্তমানে ফাইবার নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক সহজে ক্লাইন্ট খোঁজার সুবিধা দিয়েছে। এখানে গিগ খুলে নিজের কাজের পারদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে ক্লাইন্ট নিজেই কাজের অফার দেয়। 

পেমেন্ট সিস্টেমঃ পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট সেটআপ করা যতটা সহজ মনে করা হয় আসলেই ততটা সহজ। বাংলাদেশে পেপাল না থাকায় সকল ফ্রিল্যান্সারগুলো পেওনিয়ার, ওয়াইজ, ডিরেক্ট ব্যাংক ট্র্যান্সফার মেথড ব্যবহার করে। মার্কেটপ্লেসে যখন আপনি কাজ সাবমিট করবেন তার বিনিময়ে যে টাকা পাবেন তা উল্লিখিত পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসতে হবে। মোটকথা অনলাইন থেকে আপনি যা যা ইনকাম করবেন তা পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে দেশে নিয়ে আসতে হবে। 

সৃষ্টির কল্যাণে ফাউন্ডেশন যুবসমাজকে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন স্কিলস গুলোর প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছে। 

সৃষ্টির কল্যাণে ফাউন্ডেশনের ফ্রিল্যান্সিং স্কিলস কোর্স গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ 

> ওয়েবসাইট ডিজাইন এন্ড ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট উইথ ওয়ার্ডপ্রেস 

> গ্রাফিক ডিজাইন 

> সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 

> ডিজিটাল মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং এর এই সকল কোর্স সমূহ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করার মধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে সৃষ্টির কল্যাণে ফাউন্ডেশন বধ্যপরিকর।

Scroll to Top

অনুদান প্রদান ফর্ম

Donation Form

যোগাযোগের তথ্য

আপনার সাথে যোগাযোগ করতে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। 


×